গরমে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

গরমে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন করা খুবই জরুরী। ত্বক ভালো রাখতে ও উজ্জ্বল রাখতে আমাদেরকে রাত্রে ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। আজকে আমি এই ব্লক পোস্টে আপনাদেরকে রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকের যত্ন সম্পর্কে আলোচনা করব। কিভাবে ত্বক উজ্জ্বল এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে আজকে আমি  সেই বিষয়ে তুলে ধরবো।

গরমে - ত্বকের -যত্নে - ঘরোয়া - উপায়তাই আপনারা আমার সাথেই থাকুন। ত্বকের যত্নে উন্নত হবে কিভাবে অক্সিজেন প্রবাহ ভালো হবে কিভাবে আজকে আমি সেই বিষয়ে তুলে ধরবো। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ মেসেজ করলে ত্বক নরম হয়। এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। এটি শুষ্ক ময়শ্চারাইজ করে ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন আরো বিস্তারিত জানতে আমার ব্লগটির সাথেই থাকুন।

পেজ সূচিপত্র :গরমে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় 

  • গরমে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় 
  • বয়স অনুযায়ী ত্বকের যত্ন 
  • ব্রণ যুক্ত ত্বকের যত্ন 
  • তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন 
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরি 
  • ছেলেদের ত্বক ভালো রাখার উপায় 
  • ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল 
  • শ্যামলা ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায় 
  • তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় 
  • শেষ কথা :গরমে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায় 
    • গরমে ত্বকের যত্নের ঘরোয়া উপায়

      বর্তমানে প্রচন্ড গরম পড়েছে সেই জন্য ভালোভাবে সচেতন থাকতে হবে। ত্বকের জন্য বাড়তি যত্ন করা আমাদের খুবই জরুরী। এর জন্য বাড়তি খেয়াল রাখা আমাদের সকলকে। তা না হলে এই ত্বক হয়ে পড়বে নিষ্প্রাণ। গরমে তরল জাতীয় খাবার প্রিয় খাবার বেশি খেতে হবে। তাতে ত্বকের কোষও থাকবে। খামের সঙ্গে যে পানি বের হয়ে যায় আর ঘাটতি অবশ্যই পূরণ করতে হবে। 

      আবার ঘামের চিটচিটে হয়ে যাওয়া ত্বক পরিষ্কার ও রাখতে হবে ভালোভাবে। তাহলেই আমাদের ত্বক সুন্দর সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকবে। এইতো ভালো রাখার জন্য অবশ্যই কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। কিছু নির্দেশনা নিচে দেওয়া হল -

      ১.ফলে পানি, ফলেই পুষ্টি 

      প্রতিদিন আমাদেরকে ফল খেতে হবে। বাজারে অনেক ধরনের ফল আমরা দেখতে পাই যেমন আপেল, আনারস, তরমুজ, পেয়ারা, জাম্বুরা, শসা ইত্যাদি আপনার খাবার তালিকায় আপনি এসব ফল রাখতে পারেন। ফলের ফলের তৈরি আপনি জুস তৈরি করে খেতে পারেন। ফলে অনেক পানির অভাব দূর করে। তবে আপনারা খেয়াল রাখবেন ফলের জুস তৈরি করার সময় চিনি না দাওয়াই ভালো। আর মনে রাখেন ঘরে তৈরি ঘরের তৈরি  করতে পানীয় স্বাস্থ্যকর। এটি আপনার শরীরকে ও ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে 

      ২.ত্বক পরিচ্ছন্ন করার উপায় 

      তোকে ঘাম ধুলাবালু ও দূষিত পরিবেশের অন্য যেসব উপাদান  ত্বকের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেগুলোর প্রভাব থেকে বাঁচতে ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই আপনি রস নিন সঙ্গে যোগ করতে পারেন দুই দুই ফোঁটা লেবুর রস। প্রতিবেলায় এই মিশ্রণটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার জন্য এটি কঠিন হয়ে গেলে শসার রস ও লেবুর রস মিশ্রণ ডিপ ফ্রিজের  বরফের ছাচেশসার রস ঢেলে রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহে আপনি এই কিউব বের করে হালকা ভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন 

      ৩.মৃত কোষ সচল করার উপায় 

      অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আমরা জানবো কিভাবে মৃত কোষ সচল করা যায় -আপনার বাড়িতে নিশ্চয়ই চালের গুড়ো থাকে। সেখান থেকে চালের গুঁড়ো নিন  এবং তাতে মিশ্রণ করেন গাজরের রস এক টেবিল চামচ, এক চামচ নারকেল তেল আর দুই ফোটা লেবুর রস। এবার এটির একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর আলতোভাবে মুখের এই মিশ্রণটি মালিশ করতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। 

      আবার এক টেবিল চামচ বেসন নিন, তারপর চার থেকে পাঁচ কাঁচা দুধ আর দুই চামচ মধু দিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করুন। তারপর মিশ্রণটি লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে বৃত্তাকার গতিতে ভালোভাবে মিশ্রণটি উঠিয়ে ফেলতে হবে। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে রোদে পোড়া ভাব কমে যাবে। 

      বয়স অনুযায়ী ত্বকের যত্ন 

      ত্বকের ধরন ও বয়স বুঝে আমাদের ত্বকের যত্ন করা উচিত। সব ধরনের বয়সের সাথে সব ধরনের ত্বকের যত্ন করা যাবে না। যেমন যাদের এখন কৈশোর চলছে তাদের ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় সে ক্ষেত্রে ব্রণ হতে পারে। আবার ছত্রাকের সংক্রমণ সব বয়সী সাধারণত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এতে করে গরমে বেশি ঘামলে ত্বকে ছত্রাকের আক্রমণ বেশি দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের বয়স ভেদে ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। যেমন 

      ১.কিশোর বয়সে ত্বকের যত্ন 

      এই বয়সে যে সমস্যাটি বেশি দেখা দেয় সেটা হলো ব্রণ। এর জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে এটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এক টেবিল চামচ চালের গুড়ো, পরিমাণ মতো কাঁচা দুধ, আধা চামচ মধু এবং গাজরের রস মিশিয়ে স্ক্রাবিং করা যেতে পারে। আবার অনেকের মুখ তৈলাক্ত হয়। তারা মেথি লালাটা এবং শসার রস দিয়ে বানানো প্যাক ১৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। 

      ২.তরুণ ত্বকের যত্ন 

      তরুণ ত্বকের জন্য সমস্যাটা দেখা দেয় সেটা হল সান ট্যানড।এই ধরনের ত্বকের জন্য এক চামচ করে কাঠবাদাম, সঙ্গে লাল আটা এবং সামান্য হলুদের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পেস্ট  তৈরি করুন। তারপর সপ্তাহে একদিন করে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আপনার ভালো থাকবে। আবার এই বয়সে যাদের ত্বক তৈলাক্ত হয় তাদের জন্য -ত্বকের শসার রস, মুলতানি মাটি, গাঁদা ফুলের পেস্ট মিশিয়ে ১৫ মিনিট তকে রাখলে ভালো ফল পেতে পারেন। 

      এই বয়সে ত্বক ভালো রাখার জন্য আরও একটি ঘুম এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবন। আপনার তো ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন আধাঘন্টা ব্যায়াম ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া আপনি দিন ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। রোদে গেলে অবশ্যই সানস্ক্রিন স্ক্রিম ব্যবহার করবেন। 

      গরমে - ত্বকের -যত্নে - ঘরোয়া - উপায়


      ব্রণ যুক্ত ত্বকের যত্ন 

      ত্বকের সমস্যার মধ্যে বড় সমস্যা হল ব্রণের সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষই এই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে আমাদের কিছু কাজ অনুসরণ করতে হবে। কিছু কাজ দেওয়া হল -

      ১.ত্বক সুস্থ রাখতে ব্রণ মুক্ত রাখতে অবশ্যই ত্বককে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।দিনে প্রায় তিন থেকে চারবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এতে আপনার তৈলাক্ত ভাব দূর হবে। ময়লা সহজে জমতে পারবেনা। 

      ২.খাবার তালিকা আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল রাখতে হবে।ভাজাপোড়া ও আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। যে খাবারে প্রচুর পরিমাণে ইস্ট আছে সেই ধরনের খাবার আপনাকে খাওয়া যাবেনা। চা কফি বাদ দিয়ে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। 

      ৩.নিজেকে সব সময় দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে ঘুমাতে হবে। 

      ৪.ব্রণ দূর করার পাশাপাশি প্রতিরোধ করতে ডার্মাটোলজিস্ট রিকমেন্ট প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। 

      ৫.সাধারণত ত্বকের উপযোগী কার্যকর উপাদান গুলো হল -সেলি সাইলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি যা ভালো মানের এন্টি একনি প্রোডাক্ট থাকে। 

      ৬.ছেলেদের যদি ব্রণ বেশি থাকে তাদের ঘন ঘন শেভ করা যাবে না সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়তে পারে। 

      তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন 

      বেশিরভাগ মানুষই তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে চিন্তিত। তারা অনেক সময় বেশি বেশি মুখ ধোয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এটাও আবার ঠিক না যদি আপনার মুখে ঘাম না ঝরে তাহলে বেশি বেশি মুখ ধোয়া ঠিক না। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কিছু নিয়ম আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। 

      ১.তোলা তো তোকে আপনি তেলও ব্যবহার করতে পারেন একটা কার্যকরী পদ্ধতি। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ওহী ও ভিত্তিক ত্বক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার টরোকএই বিষয়ে বলেন -"ত্বকের ভারসাম্য  রক্ষা করতে পারে, যেমন -জোজোবা বা হেমপ ব্রিজের তেল, ত্বকের তেল নিঃসরণ ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে "

      ২.তোলার তো ত্বকের জন্য ভারী সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত নয়। হালকা সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। পানি বা জেল ভিত্তিক সানস্ক্রিন ত্বকে ভারী হয়ে বসে থাকে না। তা আপনাকে ভালো মানের সানস্ক্রিন 

      ৩.প্রতিদিন আপনাকে জেলধর্মী ময়শ্চারাইজ ব্যবহার করা উচিত। অনেকে মনে করতে পারেন হোক আরো ১৮ হয়ে যেতে পারে। না এতে আপনি ভাল উপকার পেতে পারেন। তাই আপনার জন্য গ্লিসারিন সমৃদ্ধ ময়শ্চারজার ব্যবহার করা উপকারী। 

      ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসপ্যাক তৈরি 

      ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি ফেসপ্যাক তৈরি করে আপনার ত্বকের যত্ন করতে পারেন। কিছু ফেস প্যাক তৈরি করার নিয়ম  নিচে দেওয়া হল -

      ১.লেবু ও মধুর ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন আপনি বাড়িতে নিজেই।প্রথমে আপনি একটি লেবু নিবেন সাথে দুই চামচ মধু ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করবেন। এটা আপনার মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখতে পারেন। এটা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করবে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে যা ত্বকের কালো দাগ দূর করে এবং এবং মধু ত্বকে হাইডেটেড রাখে। যা আপনার ত্বককে দীর্ঘ সময় সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। 

      আরও পড়ুনঃ ফেসপ্যাক নিয়ম সম্পর্কে 

      ২.গোলাপ জল ও টমেটো দিয়ে আপনি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন বাড়িতে।একটি টমেটো হতে পারেন চামচ গোলাপ জল ও এক চামচ মধু মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। এই প্যাকটি আপনি ১৫ মিনিট রেখে ভালো হবে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এটা আপনার সতেজ ভাবটা ফিরিয়ে আনবে। এটা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ত্বকের সজীবতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

      ৩.ত্বকের যত্নের জন্য আরও একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন চন্দন ও দুধ। চন্দনের পাউডার দুধ ও মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট  তৈরি করতে পারেন। তারপর আপনি এটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন। এতে আপনার ত্বককে শীতল রাখতে সাহায্য করবে। ত্বকের জন্য এই প্যাকটি খুবই উপকারী। 

      ৪.নারিকেলের তেল ও বাদাম দিয়েও আপনি একটা প্যাক তৈরি করতে পারেন। প্রথমে বাদাম গুলো ভালোভাবে বেটে নিন সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন। এই প্যাকটি লাগিয়ে রাখতে পারেন এবং পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন । নারকেল তেল ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বাড়িয়ে দেয় এবং বাদাম স্কুলগুলো মজবুত করতে সাহায্য করে। 

      ৫.মুলতানি মাটি ও গোলাপজল আপনার ত্বকের জন্য আরেকটি উপকরণ। প্রথমে আপনি মুলতানি মাটি এবং গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। তারপর এটা ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে পরবর্তী ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এতে আপনার মুখের ও দূষণ পরিষ্কার করে গোলাপজল তোকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। 

      ছেলেদের ত্বক ভালো রাখার উপায় 

      অনেকে মনে করেন মেয়েদের ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ছেলেদের কোন প্রয়োজন নাই। কিন্তু ছেলেদের ত্বকের যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন রয়েছে। কারণ ছেলেদের ত্বক বেশি রুক্ষ থাকে। এদের ত্বকের যত্ন বেশিনিতে হবে  না হলে বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এদের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে সেগুলো হলো -

      ১.ফেসওয়াশ ব্যবহার 

      ছেলেদের মুখ বেশি রুক্ষ থাকে। তাই এদের মুখ সাবান দিয়ে ধৌত করা যাবে না। কারণ সাবানে প্রচুর পরিমাণে রুক্ষ উপাদান থাকে। যা ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাজারে ছেলেদের জন্য অনেক ধরনের ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। সে ফেসওয়াশ দিয়ে অল্প গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

      ২.সঠিক পদ্ধতিতে সেভ করা উচিত 

      সাধারণত ছেলেদের ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণে ত্বকে বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে।অনেকে আছেন যারা নিয়মিত সেভ করেন তাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। যেমন সঠিক ভাবে সেভ না করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে মাল্টি ব্লেড ছেড়ে ডাবল ব্লেড রেজাল্ট ব্যবহার করা উচিত। শেভিং ক্রিম এর বদলে মশ্চারিং সেভিং ক্রিম বেছে নিতে হবে। তিন থেকে চারবার ব্লেড বদলে ফেলতে হবে। 

      ৩.সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত 

      ছেলেদের বেশিরভাগই রোদে থাকতে হয়। যদি বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই রোদ থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। 

      ৪.ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার নিয়ম 

      সাধারণত শুষ্ক তো খাওয়ার কারণে ত্বকের অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ যেন ময়েশ্চারাইজ খুবই দরকার। ত্বকের সুন্দর রাখে রাখে। এবং তাকে বয়সের ছাপ পড়তেও দেয় না। তবে মনে রাখবেন ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার করতে হবে গোসল এবং সেভ করার পর পরই। 

      ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়াল 

      ত্বক ভালো রাখার জন্য আমাদের ত্বকের বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার। কারণ আমরা বাইরে গেলে তকে প্রচুর পরিমাণে ধুলাবালি রোদ ইত্যাদির কারণে আমাদের ত্বক আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এজন্য আমাদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের জন্য। তাই ত্বক ভালো রাখার জন্য ফেসিয়াল করার পরামর্শ দেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। 

      তাই আপনি আপনার ত্বককে ভালো রাখার জন্য ঘরে বসে ঘরের বিশেষ উপকরণ দিয়ে আপনার ত্বককে সুস্থ করে  তুলতে সাহায্য করতে পারেন। আপনাকে ত্বক সুস্থ রাখার জন্য পার্লারে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নাই। আপনি বাড়িতে বসে বিভিন্ন রকমের ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বক ভালো রাখতে পারেন। এতে আপনার সময় ও খরচ দুটোই কমবে। যেমন মনে করেন -আপনি চিয়া সিড নিয়ে তা দুধে ভিজিয়ে রাখুন।এরপর একটি পেস্ট  তৈরি করুন। এতে আপনি মধু চালের গুঁড়ো ও অ্যালোভেরা মিশে একটি পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। 

      আপনি মুখে হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। আগের তৈরি করা কোন ফেসপ্যাক থাকলে মুখে লাগাতে পারেন। মুখে সামান্য ফেসপ্যাক দিয়ে কিভাবে মেসেজ করতে পারেন যতক্ষণ পর্যন্ত শুকিয়ে না যায়। তারপর ভালোভাবে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন। আপনার প্যাকটি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে গেলে আপনি ত্বকের সঙ্গে মানানসই  ভাবে টোনার লাগাতে পারেন। তারপর আপনি ভাল মানের মশ্চারাইজ ব্যবহার করতে পারেন। ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার করলে আপনার আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এতে আপনার ত্বক সুন্দর ও সতেজ থাকবে। 

      গরমে - ত্বকের -যত্নে - ঘরোয়া - উপায়


      শ্যামলা ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায় 

      শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার জন্য আপনি ঘরোয়া অনেক জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। তবে সর্বপ্রথম হলুদ ও মধুর ভূমিকা রয়েছে। চকচকে ভাব আনার জন্য হলুদের কার্যকারিতা অনেক বেশি। ফর্সা হওয়ার ক্রিম আপনি কখনোই ব্যবহার করবেন না। তার বদলে আপনি ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত সুন্দর ও সতেজ থাকবে। 

      খেয়াল রাখবেন হলুদ শ্যামলা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। প্রথমে আপনি হলুদকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিতে পারেন। তারপর এটিকে তাওয়াতে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করতে থাকবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এটি কফির মতন কালার না হয়ে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত এটি নাড়াচাড়া করতে  থাকবেন। তারপর এটা সঙ্গে ভা মধু মিশিয়ে ভালোভাবে মুখে মাখন। এতে আপনার চোখে ডার্ক সার্কেল দূর করতে সাহায্য করবে। 

      এই প্যাকটি আপনি টানা সাত দিন ব্যবহার করলে আপনার মুখের রং ফর্সা হবে। হলুদে আছে কার কিউমিন নামক একটি উপাদান। যা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। এটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারে আসে। ত্বক পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত  রাখতে  মধুর গুণাগুণ অনেক বেশি। কারণ মধুতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান। এতে ত্বক টানটান রাখতে সাহায্য করে। 

      তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় 

      যাদের ত্বক তৈলাক্ত বেশি ভাটি তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে চিন্তিত থাকেন। যাদের টক টৈলাক্ত তারাই বুঝেন এর যন্ত্রণা কতটুকু। যতই সাজগোজ ও মেকআপ করা হোক না কেন কিছুক্ষণ পরে তেলতেলে ও চিটচিটে ভাব চলে আসে ত্বকের মধ্যে। এটি একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। 

      ১.ডিম শসা ও পুদিনা দিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে এটি যদি মুখে ব্যবহার করা যায় তাহলে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ডিমের সাদা অংশের সাথে শসার রস ও পুদিনা পাতার পেস্ট মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। তারপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

      ২.তৈলা তো ত্বকের জন্য আরো একটি ফেসপ্যাক হল কমলার ফেসপ্যাক। এটি ত্বকের জন্য। কমলার রস যেমন আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তেমনি এই কমলার খোসা ত্বকের  জন্য খুবই উপকারী। কমলার খোসার গুঁড়ো দুই চামচ, দুধ চা চামচ, এবং এক চামচ হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে মুখে লাগাতে হবে। তারপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা সপ্তাহের দুই থেকে তিন দিন লাগাতে পারেন। এটা আপনার মুখে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে এবং টানটান ভাব রাখতে সাহায্য করবে। 

      ৩.তোলা তো ত্বকের জন্য আরো একটি উপকরণ হলো পাকা কলার ফেসপ্যাক। এর কার্যকারিতা অনেক বেশি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। প্রথমে আপনি কলার খোসা ছাড়িয়ে কলা চটকে এতে মধু আর লেবুর রস মিশ্রণ করে প্রথমে আপনি মুখে ব্যবহার করতে পারেন। ১৫ মিনিট মুখে রাখার পর আপনি ভালোভাবে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন। সপ্তাহে দুই-তিনবার এই প্যাক ব্যবহার করলে আপনি অনেক উপকার পেতে পারেন। 

      ৪.তৈলাক্ত মুখের জন্য আরও একটি ফেসপ্যাক হল শসা। সুষার সাথে গোলাপজল ও লেবুর রস পেস্ট মিশিয়ে আপনি মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্ব ও তেল মুক্ত হবে। 

      ৫.তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আরেকটি উপকরণ হলো লেবুর রস ও মধুর প্যাক। এটি আপনি ভালভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। এতে আপনার তৈলাক্ত ভাব দূর হবে। মনে রাখবেন প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি এগুলো ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন  আনা সম্ভব নয়। আপনি এটি নিয়মত ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের পরিবর্তন হতে পারে। 

      শেষ কথা :গরমে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় 

      গরমে ত্বকের যত্নে ঘুরুয়া উপায় সম্পর্কে আজকে আলোচনা করা হলো। প্রিয় পাঠক আজকে আমরা ত্বকের যত্নের বিশেষ কার্যকারিতা তুলে ধরেছি। আশা করছি এই পোস্টের মাধ্যমে  আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমরা প্রত্যেকে জানি যে, গরমে ত্বকের যত্ন নেওয়া কতটা জরুরি। তাই আমাদের সকলকে বিশেষভাবে গরমে ত্বকের যত্ন সম্পর্কে খেয়াল রাখতে হবে। 

      এই অসহ্য গরমে ত্বকের যত্ন করা আমাদের জন্য খুবই জরুরী।ত্বক যদি সুস্থ থাকে তাহলে আমরাও ভালো থাকবো।তাই আপনারা উপরোক্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে খেয়াল করবেন। এবং নিয়মিত অনুসরণ করলে আমার বিশ্বাস সকলে উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন জীবন মাত্র একটাই। তাই আপনার জীবনকে সুন্দরভাবে রাতে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি নিজে যদি সচেতন না থাকেন। তাহলে আপনি ত্বকের যত্ন ভালোভাবে করতে পারবেন না। তাই আপনি যদি উপরুক্ত বিষয়গুলো তো অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে নিশ্চিত আপনার ত্বক ভালো থাকবে। স্যার আপনি চাইলে ঘরে বসেই সব ভালো রাখতে পারেন। ত্বকের যত্ন বিষয়ে আপনি আরো বিস্তারিত যদি জানতে চান তাহলে ওপরে দেখুন। পরবর্তী আর্টিকেল দেখতে আপনারা আমার সাথেই থাকুন। সেই পর্যন্ত আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url