অ্যাসিডিটি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আসসালামুয়ালাইকুম সবাই কেমন আছেন,আজকে আমি আসিডিটি দূর করার জন্য ঘরোয়া কিছু
উপায় আপনাদের সাথে আলোচনা করব।আজকাল অ্যাসিডিটি সমস্যাএকটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে
দাঁড়িয়েছে। প্রতিটা পরিবারে বেশিরভাগ মানুষ জনের এই সমস্যাটি দেখা
দিয়েছে।
তাই আজ আমি আপনাদের সাথে কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যাটি সমাধান করা যায় এই
বিষয়ে আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব।এর জন্য আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে
হবে।অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা আমাদের ভুলের কারনে এই সমস্যাই ভুগে থাকি।
পোস্ট সুচিপত্রঃ অ্যাসিডিটি দূর করার ঘরোয়া উপায়
অ্যাসিডিটি দূর করার ঘরোয়া উপায়
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই সাবধানতা বজায় রেখে চলতে হবে।
যেকোনো খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। তৈলাক্ত
খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। পচাবাসি খাবার খাওয়া যাবে না। কমল পানি পান
করা যাবে নাভাজাপরা ও ফাস্টফুড খাবার বর্জন করতে হবে।নিওমিত ঘুমাতে হবে।সারাদিন
এই নিয়মগুলো মেনে চললে আমরা অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে পারি।আপনাদের মনে
রাখতে হবে যে সবকিছুর কিছু নিয়ম থাকে যা আমাদের অনুসরণ করে চলতে হয়।
আদা ও পাকা কলার গুনাগুন
আসিডিটির জন্য আদা ও পাকা কলার গুনাগুন অনেক।আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে
antiঅক্সিডেন্ট।যা আমাদের শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তলে।আবার অনেক সময়
ধরে আসিডিটি হলে আদাকে টুকরো টুকরো করে কালো লবন মাখিয়ে চিবালে উপকার আসে।অপর
দিকে প্রতিদিন রাতে দুটি করে কলা খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এটি
পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে।
লবঙ্গ ও এলাচের এর ঘরোয়া উপায়
অ্যাসিডিটির জন্য লবঙ্গ ও এলাচের কোন জুড়ি নেই। সঠিক নিয়মে লবঙ্গ ও এলাচ
খেলে অ্যাসিডিটি খুব তাড়াতাড়ি দূর করা সম্ভব। প্রতিদিন ২/৩ টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে
চুষলে বুকজালা, বমি বমি ভাব দূর হয়।এলাচ গুর করে খেলে আসিডিটি থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়।
মওরির পানি ও আম্লকির ব্যাবহার
আসিডিটি দূর করার জন্য মওরির পানি ও আমলকী খুব গুরত্বপূর্ণ। প্রতিদিন
মওরি ভিজিয়ে রেখে যদি সেই পানি পান করা যায় তবে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়।আবার আমলকী কালো লবন মাখিয়ে অথবা আমলকী সেদ্ধ বা জুশ করে খেলে অ্যাসিডিটি
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তুলসিপাতা ও পুদিনাপাতার কার্যকারিতা
অ্যাসিডিটি দূর করার জন্য তুলসিপাতা ও পুদিনাপাতার কার্যকারিতা
অনেক।খাবারের পর তুলসিপাতা ও পুদিনাপাতা চিবিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়।এর রস শরিরের জন্য অনেক উপকার।
পেপে ও শশার উপকারিতা
অ্যাসিডিটি কম রাখার জন্য পেপে ও শশা খুব উপকারি।কারন শশা পেট ঠাণ্ডা রাখতে
সাহায্য করে। এটি একটি কার্যকারী খাদ্য। এতে রয়েছে। ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি
ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটের অ্যাসিডিটি উদ্রেক কমায়। আবার পেপেতে রয়েছে পাপায়া
নামক এনজাইম যা হজম শক্তি বারায়। নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলেও অ্যাসিডিটি সমস্যা
থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জোয়ান ও জিরার কাজ
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জয়ান ও জিরার গুনাগুন বেশি। এক লিটার
পানিতে দু চামচ জোয়ান দু চামুচ জিরে সারারাত ভিজিয়ে রাখলে পরের দিন সকালে
খালি পেটে খেয়ে নিন। এতে আপনি অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ঠাণ্ডা দুধ ও দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ঠাণ্ডা দুধ ও দই আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।এতে করে তাড়াতাড়ি খাবার
হজম হয়। ফলে পেটে অ্যাসিডিটি হওয়ার ঝামেলা থাকে না।তাই আপনারা যারা
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে চান তারা অবশ্যয় ঠাণ্ডা দুধ খাবেন। গরম দুধ অবশ্যয়
খাবেন না।
আকন্দ ও দারচিনি খাওয়ার নিয়ম
আকন্দ ও দারচিনি খাওয়ার নিয়ম মেনে খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।আকন্দ
অ্যাসিডিটি দূর করে। পেটের জালাপরা ব্যথা সারাতে আকন্দ পাতা খুব উপকারি।আবার
দারচিনি অ্যাসিডিটি দূর করার জন্য কুব ভাল।এটি হজমের জন্য ভাল।দারচিনির গুড়ো
দুই চামচ পানিতে ফুটিয়ে দিনে দুই অথবা তিন বার খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি
পাওয়া জায়।
লেবু ও পানির উপকারিতা
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লেবু ও পানির কোন বিকল্প নেই।লেবুতে প্রচুর
পরিমানে সাইট্রিক এসিড আছে যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়িয়ে তলে।হাল্কা উষ্ণ গরম পানিতে দু চামচ পাতি লেবুর রশ মিশিয়ে
খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তাই পরিশেষে বলতে চাই যে,অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই উপরোক্ত নিয়ম
মেনে চললে আমাদের উপকার পাওয়া সম্ভব।অ্যাসিডিটি দূর করার ঘরোয়া উপায় খুব গুরুত্ব পুরন। তাই আপনারা যারা এই ধরনের সমস্যাই
ভুগছেন তারা এইগুলো নিয়ম মেনে চলেন তাহলে আপনি অতি সত্ত্বর এই রোগ থেকে মুক্তি
পাবেন। তাই আপনারা ঘরোয়া উপায়ে এই নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন।
অ্যাসিডিটি আপনি আপনি উপকার পাবেন।এটি নিয়মিত খেলে
অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঠাণ্ডা দুধ ও দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url